তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ আগেই হারিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে লক্ষ্য ছিল অন্তত একটি জয় তুলে নিয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়ানো এবং র্যাঙ্কিংয়ের জন্য কিছু মূল্যবান পয়েন্ট অর্জন। কিন্তু কোনো লক্ষ্যই পূরণ হলো না—আফগানিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচেও বিধ্বস্ত মেহেদী হাসান মিরাজের দল। ২০০ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরে সিরিজে প্রথমবারের মতো আফগানদের কাছে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডুবল বাংলাদেশ।
প্রথমে ব্যাট করে আফগানিস্তান নির্ধারিত ৫০ ওভারে করে ৯ উইকেটে ২৯৩ রান। ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান ৯৫ রানে থেমেছেন সেঞ্চুরির দুই কদম আগে। মোহাম্মদ নবীর ৩৭ বলে ঝোড়ো ৬২ রানে বড় সংগ্রহ গড়ে সফরকারীরা। বাংলাদেশের হয়ে সাইফ হাসান বল হাতে দারুণ বোলিং করেছেন—৪ ওভারে মাত্র ৬ রান খরচায় নিয়েছেন ৩ উইকেট।

২৯৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ধস নামে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে। ইনিংসের ৭ রানে নাঈম শেখ ফেরার পর নাজমুল হোসেন শান্তও ব্যর্থ—১৬ বলে করেন মাত্র ৩ রান। পুরো সিরিজে শান্তর সংগ্রহ মাত্র ১২ রান, যা তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে পারফরম্যান্স।
ওপেনার সাইফ হাসান ও তাওহিদ হৃদয় কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও আফগান অধিনায়ক রশিদ খান বল হাতে নেমেই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন। ১৭তম ওভারে গুগলিতে বোল্ড করে ফেরান হৃদয়কে (৭), পরের ওভারেই বোল্ড করেন সাইফ হাসানকে (৫৪ বলে ৪৩)।
এর পরের দৃশ্য একেবারেই বাংলাদেশের ব্যাটিং বিপর্যয়। একই স্কোরে মিরাজ (০) ও শামীম (১) ফেরেন দ্রুতই। রশিদ খান শেষ পর্যন্ত তুলে নেন ৩ উইকেট, আর বিলাল সামি নিয়েছেন ইনিংসসেরা ৫ উইকেট।
বাংলাদেশের ইনিংস থামে মাত্র ৯৩ রানে—লক্ষ্য থেকে ২০০ রান দূরে। শেষদিকে তানভীর ইসলাম ও নুরুল হাসান চেষ্টা করলেও ফল মেলেনি।
এই জয়ে আফগানিস্তান তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ৩–০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশকে। রশিদ খান ১১ উইকেট নিয়ে হয়েছেন সিরিজসেরা—যা আফগানিস্তানের হয়ে কোনো তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড।
